Sunday, September 24, 2023



নাফিস! 

তখন খুব নম্রস্বরে জানতে চেয়েছিলি যে, আমার কষ্ট হয়েছে কি-না। তোর কথাটা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলাম। তোর দিকে মাথাতুলে ফিরেও তাকাই নি। ‘হয়তো কিছু বলতে পারি’ এমনটি ভেবে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলি। অথচ আমি কিছুই বলিনি তোকে। নিশ্চুপ ছিলাম। এমনকি বসতেও বলিনি। এলোমেলো কি'সব ভাবনায় ডুবে ছিলাম। খানিক বাদে,  রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেছিস্। 

আচ্ছা তুই কি জানিস, ইট-পাথরের ভাড়ী রাস্তার পাশে, বস্তি ও গাছের নিচে, যাপিত জীবনগুলোর রাতগুলো কতটা দীর্ঘ হয়?

Monday, September 18, 2023

 


আত্মহত্যাই শেষ সমাধান নয়!

আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করবে, সে অস্ত্র তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে অস্ত্র দ্বারা স্বীয় পেটে আঘাত করতে থাকবে।  এভাবে সেখানে সে চিরকাল অবস্থান থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনে অবস্থান করে উক্ত বিষ পান করতে থাকবে। এভাবে সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড় থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে; সে ব্যক্তি সর্বদা পাহাড় থেকে নিচে গড়িয়ে জহান্নামের আগুনে পতিত হতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। 

[সহীহ মুসলিম-১০৯]

Friday, September 15, 2023

 

❝ পানি যখন দীর্ঘদিন আবদ্ধ থাকে তখন তা নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট পানি যখন স্থির থাকে, তখন তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তদ্রূপ মেহমানের অবস্থান দীর্ঘ হলে তার সাক্ষাৎ অপছন্দনীয় হয় এবং তার অবস্থিতি শেষ মাত্রায় পৌঁছে গেলে, তার ছায়া ভারি হয়ে যায়। ❞

Sunday, September 10, 2023

কিছু আচরণ সহে যেতে হয়!

 

[এখানে আমার আপু বসবে]

টিএসএসি (ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) -থেকে উত্তরায় আসবো। রাত প্রায় ৯ টা। নিউমার্কেট ওভারব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ পরেই 'বিকাশ' বাস আসলো। বেশ কিছু সীট খালি আছে। ড্রাইভারের পিছনে দুটো সীট খালি পেয়ে বসে পড়লাম। পরক্ষনেই এক ভদ্রলোক আমার পার্শ্বে বসে পড়ল। কিছু বলার পূর্বেই ভদ্রলোক বললেন যে, ফার্মগেট যাবেন। নিউমার্কেট পার হয়ে, আমাদের বাসে চারজন মহিলা উঠলো। দুজন মধ্যবয়সী আর বাকি দুজন ভার্সিটি বা কলেজ পড়ুয়া হবে। তিনজন মহিলা সীটে বসলো, আরেকজন সীট না পেয়ে দাঁড়িয়ে রইল। করিডরে মেয়েটিকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে- আমি সীট থেকে দাঁড়ালাম ও ভদ্রমেয়েকে ইঙ্গিতে বসতে বললাম। মেয়েটি বসে পড়ল এবং মুঠোফোনে ব্যাস্ত হয়ে গেলো। পুরো বাসটিতে আমি একাই দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। ফার্মগেট পৌঁছার পর, মেয়েটির পার্শ্বের সীটটি খালি হলো। অর্থাৎ (আমার পাশের সীটের ভদ্রলোকের সীট) আঙ্কল্ ওনার নিজের সীটে, আমাকে বসতে বলে- নেমে গেলেন। আমি সেখানে বসতে যাবো তো ভদ্রমেয়ে আমাকে বাধা দিয়ে বললো, না এখানে আমার আপু বসবে। অতঃপর মহিলা সীটে বসা তিনজন মহিলাদের থেকে মেয়েটি তার আপুকে ডেকে পাশে বসালেন এবং নিউজফিডে মেতে উঠলেন। বাকি মহিলা দুজন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দেখছে। আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়! বাসের  হ্যাঙ্কারে বাদুড়ঝোলা হয়ে- করিডরে দাঁড়িয়ে রইলাম। বুঝতে পারিনি যে, মেয়েটির সাথে ঘটে যাওয়া আচরণ অন্যেরা খেয়াল করেছে। ইঞ্জিনের আওয়াজ হালকা হলে, পিছন থেকে আমাকে একজন ডাকলো এবং মেয়েটির আচরণের বিবৃতি নিয়ে (উত্তেজিত হয়ে) বললো, আপনি এখানে বসুন। আমি এক্ষুনি তাদের (ভদ্রমেয়ে ও তার বোন) -কে সীট থেকে উঠিয়ে দিবো। এই ভদ্রলোকের সাথে আরও কয়েকজন ক্ষিপ্ত হলো। আমি সর্বস্ব দিয়ে এদেরকে শান্ত করলাম ও মেয়েটার অক্ষমতা প্রকাশ করলাম। অনেকেই মেয়েটাকে নিয়ে মন্তব্য করতে লাগলো। তবে, মেয়েটিকে এসব বুঝতে দেই নি। ভাবনায় ঘুড়পাক খাচ্ছিলো, মেয়েটা যাকে আপু দাবী করে পাশে বসালেন 'তিনি' ও বাকি দুজন মহিলাও তো বিষয়টি চাক্ষুষ জ্ঞাত; তবে এদের বুঝটাও কি ভদ্রমেয়েটার মতো! খিলক্ষেত ছুঁই ছুঁই । দাঁড়িয়েই যাচ্ছি আমি। তারা নেমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভদ্রমেয়েটার ভদ্রআপুটা মাথা ঘুড়িয়ে পিছনের দিকে তাকালো। আমি না দেখার ভানকরে দাঁড়িয়ে আছি। খুব ইচ্ছে ছিলো- ভদ্রমেয়েকে ভদ্রভাবে কয়েকটা ভদ্রকথা বলবো; কিন্তু ভদ্রসমাজে ভদ্রপোশাকে ভদ্রভাষা ব্যক্ত করতে পারিনি...



অতল আঁধারে ঢাকা সোনালি ভবিষ্যৎ!

[লেগুনার শিশুহেল্পার]


উত্তরার হাউজবিল্ডিং থেকে খালপাড় ও ডিয়াবাড়ী রোডের লেগুনাগুলোতে হেল্পার হিসেবে কর্মরত ছোট্ট শিশুদের জীবনগুলো বারবার বিস্মিত করেছে আমায়। এক বৃষ্টিস্নাত বিকেলে- শিল্পকলার ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছি। হাউজবিল্ডিং-এ বাস থেকে নেমে লেগুনাস্ট্যান্ডে গেলাম। তখনও ঝিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে। আসেপাশে তেমন লোকজন নেই। খুব পিচ্চি একটা শিশু (খুব বেশি হলে ক্লাস থ্রিতে পড়তো!) 

হালকাপাতলা শরীরের গঠন। চুলগুলো উষ্কখুষ্ক। শ্যামবর্ণের গোলগাল চেহারা। খয়েরী রঙের একটা হাফহাতা গেঞ্জি যার ডানপাশে খানিকটা ছেঁড়া। টাখনু পর্যন্ত লম্বা একটা কালো ফুলপ্যান্ট; কোমরে বেল্ট না থাকায়- বারবার খসেপড়তে চাচ্ছে। ক্ষয়ে যাওয়া একজোড়া ঢালাই স্যান্ডেল পরিহিত। ঝিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে, হাত উঁচিয়ে, চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে- খালপাড়! ডিয়াবাড়ী! খালপাড়! খালপাড়! বলে বলে যাত্রী ডাকছেন। আমি কাছে আসতেই- এই মামা! এইডাতে ওডেন। এইডা আগে যাইবো। ওডেন, ওডেন। সিড খালি আছে!

আমি উঠে পড়লাম। ১০ জন পূর্ণ হতে আরও দু'জন যাত্রী লাগবে। আমার সামনে তিনজন মহিলা বসেছেন। দুজন ভদ্রলোক ও আমার মতো আরও দুজন ছাত্র। ভদ্রলোক দুজন ফেবুর নিউজফিডে ঘুরছেন। ভদ্রমহিলারা এদিক-সেদিক তাকাচ্ছেন আর ছাত্র দুজন পরষ্পরে খোশগল্পে মগ্ন। ইতিমধ্যেই গা ঘেঁষে দুজন ভদ্রলোক চেপে বসলো। ভদ্রলোক দুজন ওঠামাত্রই- শিশুহেল্পার লেগুনার বডিতে সজোড়ে একটা চপেটাঘাত করলো। সাথে সাথেই লেগুনা স্ট্যাট হলো। লেগুনা ছেড়ে দিতেই- শিশুহেল্পার লাফিয়ে লেগুনার হ্যাঙ্কারে উঠে এলো। বিস্ময়ভরা চোখে ওর দিকে তাকালাম- বাতাসে ওর উষ্কখুষ্ক চুলগুলো উড়ছে। বৃষ্টির ফোঁটায় ওর চোখমুখ ধুয়ে যাচ্ছে। ছেঁড়া গেঞ্জিটাও ভিজে- শরীরের সাথে লেপ্টে যাচ্ছে। ওর কপালটা ভাঁজ হয়ে আসছে। ৬০ কিমি ঘন্টায় আমাদের লেগুনা ছুটছে। শক্তমুঠিতে লেগুনার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। মাঝেমাঝে তীব্র ঝাকিতেও ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখে চোখ পড়তেই কপাল কুঁচকে বললো, ওই মামা! ভারাগুলো দেন তো!

সাথে সাথেই ছুটে গেলাম আমার দূরন্ত শৈশবে। 

উল্টাতে লাগলাম একেরপর এক স্মৃতির পাতাগুলো। ইশ! এই বয়সে আমাদের শৈশবগুলো কতোই না মধুময় ও উপভোগ্য ছিলো আর আজ এই বয়সে সে শিখে গেছে জীবন সংগ্রামের চরমশিক্ষা!


ষোল/চার/বাইশ

Friday, September 8, 2023

এই পৃথিবীতে যা আছে সব তোমার!


 যদি তুমি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারো তখন, যখন সবাই মাথা গরম করে দোষারোপ করছে তোমাকেই।

যদি তুমি নিজের উপরে আস্থা রাখতে পারো তখন, যখন সবাই তোমার ব্যাপারে সন্দিহান; আবার অন্যদের সন্দেহ করার জায়গাটাও দাও। যদি তুমি অপেক্ষা করতে পারো, আর অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে না পড়ো। যদি তোমাকে নিয়ে যখন মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে, তখন নিজে মিথ্যা কথা না বলো। যখন তোমাকে ঘৃণা করা হচ্ছে, তখনো তুমি ঘৃণার পথ বেছে না নাও; অবশ্য তখনো তোমাকে অতিরিক্ত ভালো সাজতে হবে না, খুব জ্ঞানীর মতো কথা বলতে হবে না।

যদি তুমি স্বপ্ন দেখতে পারো, কিন্তু স্বপ্নকে তোমার প্রভু বানিয়ে না ফেলো, যদি তুমি চিন্তা করতে পারো; কিন্তু চিন্তাকেই তোমার লক্ষ্য বানিয়ে না ফেলো। যদি তুমি ‘বিজয়’ আর ‘বিপর্যয়’—এই দুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারো, আর যদি তুমি এই দুই প্রতারককেই একইভাবে গ্রহণ করতে পারো।

যদি তুমি সহ্য করতে পারো তখন, যখন তোমার বলা সত্য কথাকে বিকৃত করে অসাধু লোকেরা বোকা মানুষদের জন্য ফাঁদ বানায়; অথবা তুমি যে জিনিসগুলোর জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছ, সেগুলোকে যদি তুমি ভেঙে যেতে দেখো। আর যদি তুমি সামনে-পেছনে ঝুঁকেপড়ে ক্ষয়ে যাওয়া হাতিয়ার দিয়ে আবার সেগুলোকে গড়ে তুলতে পারো। যদি তুমি তোমার বিজয়গুলোকে এলোমেলো করে রাখতে পারো। আর সেসব নিয়ে বাজি খেলে সব হারিয়ে আবারও নতুন করে শুরু করতে পারো এবং হারটা নিয়ে একটা কথাও ব্যয় না করো। যদি তুমি তোমার হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু আর পেশিকে তোমার পালা চলে যাওয়ার অনেক পরেও কাজ করতে বাধ্য করতে পারো—তখনো...
যখন তোমার ভেতরে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই; কেবল ইচ্ছাশক্তি ছাড়া, যা বলছে ‘লেগে থাকো’।

যদি তুমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলার সময়ও তোমার বিনয় ধরে রাখতে পারো এবং রাজাধিরাজের সঙ্গে চলার সময়ও সাদাসিধে ভাবটা হারিয়ে না ফেলো। যদি শত্রু কিংবা সহৃদয় বন্ধুও তোমাকে আঘাত দিতে না পারে। যদি সব মানুষ তোমার ওপরে নির্ভর করে; কিন্তু কেউই খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে। যদি তুমি ক্ষমাহীন একটা মিনিটকে ভরে তুলতে পারো ষাট সেকেন্ডের দৌড়ের সমান মর্যাদায়; তাহলে...তাহলে এই পৃথিবী তোমার! এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তোমার!! এবং তারও চেয়ে বড় কথা, তুমি হয়ে উঠবে একজন মানুষ!!!

লেখক: রুডইয়ার্ড কিপলিং

অনুবাদ: আহমেদ আযীয 

জনজীবনের দুর্ভোগ



 সাইনবোর্ড যাচ্ছি... 

উত্তরা হাউজবিল্ডিং এ পৌঁছামাত্র অনাবিলের সুপারভাইজার সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, সাইনবোর্ড... বলে বলে যাত্রী তুলছে। কয়েক কদম সামনে এগিয়ে; আবার পিছিয়ে এলাম, বাসের মাঝখানের করিডরেও এক ইঞ্চি ফাঁকা নেই! ভীড় ঠেলে— তবুও লোকজন উঠতেছে! আচ্ছা, তাদের কি চোখ নেই! বাসের হ্যাঙ্কার ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে তারা কি দেখতে পাচ্ছে না! ভীর ঠেলিয়ে তবুও কেন উঠতেছে (?) ভরা বাসটিতে। ভাবলাম, রুচি তো সবার সমান নয়। হয়তো, সময়ের পরিষর তাদের এই পরিস্থিতিতে এনেছে। আচ্ছা, মেয়েটিরও কি এমন তাড়া ছিলো (?) যার দরুণ এই ভীড়ের মাঝে পথ চলতে বাধ্য হতে হয়েছে।


ইতিমধ্যে রাইদা বাস এলো। 

করিডর একদম ফাঁকা। ওঠার পর, অবাক হলাম। করিডর ফাঁকা ঠিকই; কিন্তু সীটগুলো ভরপুর! হ্যাঙ্কারে ঝুলিয়ে রইলাম আমি। আজমপুরে এক ভদ্রমহিলার পার্শ্বে একটি সীট খালি হলো। মহিলাটি মধ্যবয়সী। বেশ মোটাগাটা। আবৃত পুরো শরীর। আধুনিকতারও ছাপ আছে। মনে হয়, সম্ভ্রান্ত পরিবারের হবে। কোথাও বেড়াতে গিয়েছিলো হয়তো। বাস হেল্পার ইশারায় বসতে বলছে আমাকে। ডানে-বামে ও ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে দ্বিধাসমেত বসে পরলাম। তিনিও কয়েক সেকেন্ড তাকালো আমার দিকে। ভাবলাম, মহিলাদের তো নির্দিষ্ট আসন রয়েছে তো ইনি এখানে...


এয়ারপোর্ট বাস স্ট্যান্ডে প্রায় ডজনখানেক যাত্রী উঠলো। সবাই হয়তো জানতো, বাসের হ্যাঙ্কারে বাদুড় ঝোলা হয়েই যেতে হবে; তবুও ভীড় ঠেলে তাড়াহুড়ায় উঠে এলো!

কুড়িল বিশ্বরোড পেরিয়ে, ট্রাফিক জ্যামে কিলোমিটারের কাঁটাটা শুন্যের কোটায় নেমে এলো। শত-শত গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ইঞ্জিনের ভোঁ ভোঁ শব্দ, প্যাঁ পোঁ হর্ণ, বাহিরের কোলাহল আর করিডরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের ভীড়ে; বাসের অভ্যান্তরে অস্বস্তিকর ও বিষিয়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিঃশ্বাস যেন আটকে যাচ্ছে। গরম আর নির্গত ঘামে যেন সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। বাসের অভ্যান্তরে সিলিংয়ের বাতাসে কি এক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আচ্ছা, সবাই কি এমনটা অনুভব করছে (?) না-কি আমারই এমনটা লাগছে।



Situation is changeable

  পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল: ধৈর্য্য ধরুন জীবনে পরিস্থিতি কখনো স্থির থাকে না। সময়ের সাথে সাথে, আমাদের চারপাশের ঘটনা, সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা, স্ব...