Friday, September 8, 2023

জনজীবনের দুর্ভোগ



 সাইনবোর্ড যাচ্ছি... 

উত্তরা হাউজবিল্ডিং এ পৌঁছামাত্র অনাবিলের সুপারভাইজার সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, সাইনবোর্ড... বলে বলে যাত্রী তুলছে। কয়েক কদম সামনে এগিয়ে; আবার পিছিয়ে এলাম, বাসের মাঝখানের করিডরেও এক ইঞ্চি ফাঁকা নেই! ভীড় ঠেলে— তবুও লোকজন উঠতেছে! আচ্ছা, তাদের কি চোখ নেই! বাসের হ্যাঙ্কার ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে তারা কি দেখতে পাচ্ছে না! ভীর ঠেলিয়ে তবুও কেন উঠতেছে (?) ভরা বাসটিতে। ভাবলাম, রুচি তো সবার সমান নয়। হয়তো, সময়ের পরিষর তাদের এই পরিস্থিতিতে এনেছে। আচ্ছা, মেয়েটিরও কি এমন তাড়া ছিলো (?) যার দরুণ এই ভীড়ের মাঝে পথ চলতে বাধ্য হতে হয়েছে।


ইতিমধ্যে রাইদা বাস এলো। 

করিডর একদম ফাঁকা। ওঠার পর, অবাক হলাম। করিডর ফাঁকা ঠিকই; কিন্তু সীটগুলো ভরপুর! হ্যাঙ্কারে ঝুলিয়ে রইলাম আমি। আজমপুরে এক ভদ্রমহিলার পার্শ্বে একটি সীট খালি হলো। মহিলাটি মধ্যবয়সী। বেশ মোটাগাটা। আবৃত পুরো শরীর। আধুনিকতারও ছাপ আছে। মনে হয়, সম্ভ্রান্ত পরিবারের হবে। কোথাও বেড়াতে গিয়েছিলো হয়তো। বাস হেল্পার ইশারায় বসতে বলছে আমাকে। ডানে-বামে ও ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে দ্বিধাসমেত বসে পরলাম। তিনিও কয়েক সেকেন্ড তাকালো আমার দিকে। ভাবলাম, মহিলাদের তো নির্দিষ্ট আসন রয়েছে তো ইনি এখানে...


এয়ারপোর্ট বাস স্ট্যান্ডে প্রায় ডজনখানেক যাত্রী উঠলো। সবাই হয়তো জানতো, বাসের হ্যাঙ্কারে বাদুড় ঝোলা হয়েই যেতে হবে; তবুও ভীড় ঠেলে তাড়াহুড়ায় উঠে এলো!

কুড়িল বিশ্বরোড পেরিয়ে, ট্রাফিক জ্যামে কিলোমিটারের কাঁটাটা শুন্যের কোটায় নেমে এলো। শত-শত গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ইঞ্জিনের ভোঁ ভোঁ শব্দ, প্যাঁ পোঁ হর্ণ, বাহিরের কোলাহল আর করিডরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের ভীড়ে; বাসের অভ্যান্তরে অস্বস্তিকর ও বিষিয়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিঃশ্বাস যেন আটকে যাচ্ছে। গরম আর নির্গত ঘামে যেন সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। বাসের অভ্যান্তরে সিলিংয়ের বাতাসে কি এক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আচ্ছা, সবাই কি এমনটা অনুভব করছে (?) না-কি আমারই এমনটা লাগছে।



No comments:

Post a Comment

Situation is changeable

  পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল: ধৈর্য্য ধরুন জীবনে পরিস্থিতি কখনো স্থির থাকে না। সময়ের সাথে সাথে, আমাদের চারপাশের ঘটনা, সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা, স্ব...